এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ার উপকুলীয় ডেমুশিয়া ইউনিয়নে পিতা কর্তৃক মাদ্রাসা পড়ুয়া ১২বছরের নিজ কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ধর্ষিতা মেয়ের মা বাদি হয়ে স্বামীকে আসামি করে ধর্ষনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে।পরে অভিযুক্ত নরপশুআবুল কালাম (৪৮)গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ ।উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের খাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ জঘন্য ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।

মামালার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, নিজ জন্মদাতা পিতা কর্তৃক দু’দফায় জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েও প্রথমে নিজের ও পারিবারিক সম্মান রক্ষায় আশঙ্কায় মুখ খুলেনি ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছরের শিশু মেয়ে। একপর্যায়ে ভবিষ্যতে এমন আরো ঘটনা ঘটতে পারে শংকায় মেয়ে মাকে বলে ‘বাবাকে চরিত্র ভালো করতে বলো, না হয় আমি আত্মহত্যা করবো’। মেয়ের একথা শোনে মায়ের মনে নানা সন্দেহ জাগে।

মেয়ের মা বলেন,  গত ১১ জুলাই মেয়ে আমাকে বলে ৩ জুলাই রাত ৯টায় ঘরের অন্যরা বেড়াতে গেলে এবং ৫ জুলাই সকালে আমি  (ধর্ষিতার মা) এনজিও’র ঋণ দিতে গেলে দু’দফা আমার স্বামী মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে।একথা শুনে আমি স্বামীকে কোন কিছু বলতে গেলেই হুমকির শিকার হয়। ফলে ঘটনাটি বাদী স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন ও সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তমকে জানালে তারা বিষয়টি শুনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নরপশু ধর্ষিত পিতা আবুল কালামকে আটক করে।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ইয়াসির আরাফাত বলেন, জঘন্য ঘটনাটির ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে জেলা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসিতে) পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল কালাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছে তার মাথায় শয়তান ডুকেছিলো, তাই অপকর্ম করেছে।’ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।